শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
ভোরে কনকনে শীত। ঘন কুয়াশায় দুই হাত দূরের জিনিসও দেখা দুষ্কর। সবকিছু যেন কুয়াশার শুভ্র চাদরে ঢাকা পড়েছে। উষ্ণ চাদরে যখন সবাই আবৃত, ঠিক তখনই ফজরের আজানের সুর ভেসে আসে। কিন্তু শয়তান মুমিনকে আরেকটু ঘুমাতে প্রলোভন দেখায়। প্রকৃত মুমিন শয়তানের কুমন্ত্রণায় ধোঁকা খায় না। আড়মোড়া ভেঙে ওঠে দাঁড়ায়। ঠাণ্ডা-শীতল পানিতে অজু করে। শীতার্দ্র প্রবাহে মসজিদের দিকে পা চালায়। মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দেয়। এমন মুমিন বান্দার জন্যই এসেছে ক্ষমার ঘোষণা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দেব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের গুনাহগুলো মুছে দেবেন (তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন) এবং (আল্লাহর নিকট) তোমাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করবেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল! নবী (সা.) তখন বলেন, (শীত বা অন্য কোনো) কষ্টকর মুহূর্তে ভালোভাবে অজু করা।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫১)
শয়তান মানুষকে শীতের ভোরে ফজরের নামাজ থেকে দূরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। শীতের কষ্টকর মুহূর্তগুলো চোখে ভাসিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রকৃত মুমিন কখনো হারে না। ধোঁকায় পড়ে না। অলসতা ও খামখেয়ালিকে প্রশ্রয় দেয় না। শীতের ভোরে ফজরের নামাজ আদায় খুবই কষ্টসাধ্য ইবাদত। আর যে ইবাদতে কষ্ট যত বেশি, সে ইবাদতে সওয়াবও তত বেশি। স্বাভাবিকভাবে ফজরের নামাজের ফজিলত ও সওয়াব এমনিতেই অন্যান্য নামাজের চেয়ে বেশি। কিন্তু শীতের ভোরে ফজরের নামাজের সওয়াব-মর্যাদা বেড়ে যায় শত গুণ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ঠাণ্ডার সময়ের নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৭৪) প্রখ্যাত হাদিসবিশারদরা বলেন, দুই ঠা-ার নামাজ থেকে উদ্দেশ্য হলোÑ এশা ও ফজর। শুধু ঠাণ্ডার কারণে নামাজের সওয়াব ও ফজিলত বেড়ে গেছে বহুগুণে।