রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
তালীগ নিউজ বিডিডটকম | গত শনিবার টঙ্গীর ময়দানে তাবলীগ ও হেফাজতের ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষে একজন মারা যান। কিন্তু গোটা দেশে গুজবে ভাসনো হচ্ছে ১০এর অধিক ছাত্র মারা গেছে। অনেকটা শাপলা চত্তরের মতোই গুজব ছড়াচ্ছেন সেই পুরানো খলনায়ক রক্তের সওদাগররা।
রবিবারে সাংবাদিক সম্মেলনে, ক্বারী জুবায়ের সাহেব বললেন, তাদের একজন লেক মারা গেছেন। অপর দিকে হেফাজত নেতারা সারা দেশে গুজব বলে বেড়াচ্ছেন, ১০/১৫জন ছাত্র শহীদ হয়েছেন।
এখন দুনিয়া অনেক ছোট হয়ে এসেছে। পৃথিবীর এক প্রান্তে কিছু ঘটলে অপরপ্রান্তে তা মুহুর্তে পৌছে যায়। কিন্তু অবাক করার বিষয় টঙ্গীর ময়দানে ১০/১১/১২/১৩/১৪/১৫জন এমন দীর্ঘ সংখ্যক ছাত্র মারা গেল, গ্রাম, গঞ্জে, হাঠে, বাজারে, এখবর মিছিল, সমাবেশ করে বড় গলায় চিৎকার করে করে জমহুর আলেমর বলছকন কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশের কোন মিডিয়া বা গোয়েন্দা সংস্থা জানল না!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল টঙ্গীর সংঘর্ষ নিয়ে প্রেসবিফিং এর সময় বলেন, টঙ্গীর সংঘর্ষে একজন মুসল্লী নিহিত হয়েছেন। পরদিন জাতীয় শীর্ষ সকল গনমাধ্যমে ১জন মৃত্যুর খবরই নাম ঠিকানাসহ প্রকাশিত হয়। মুন্সিগঞ্জের ঈসমাইল মন্ডল (৬৫) নামে একজন তাবলীগেী সাথীর মৃত্যু হয়।
২ডিসেম্বর রবিবার দৈনিক প্রথম আলো প্রথম পাতায় বড় শিরোনামেই উল্লেখ করে, নিহিত ঈসমাইল মন্ডল মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী। এই খবর আরো কিছু গনমধ্যমে এসেছে। সংবাদ মাধ্যমে নিহিতর ছেলে জাহিদ হাসান স্পষ্টভাবেই বলেছকন, আমি ও আমার আব্বা বিশ্ব মার্কাজ নিজামুদ্দিন ও বিশ্ব আমীর মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে অনুসরণ করি। ৫দিনের জোড়ে আমরা হাজির হয়েছিলাম। ছাত্রদের ধারালো অস্ত্রের আগাতে আমার পিতা শহীদ হয়েছেন।
একই দিন ২ডিসেম্বর রবিবার হেফাজত নেতাদের নিয়ে তাবলীগের মূলধারা থেকে বিদ্রোহী মুরুব্বী মাওলানা জুবায়ের সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন টঙ্গীর সংঘর্ষে তাদের একজন নিহিত হয়েছে।
পরের দিন ৩রা ডিসেম্বর সোমবার তাবলীগের মূলধারার মুরুব্বিরা ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিটে সাংবাদিক সম্মেলন করক নিহিত ঈসমাইল মন্ডলের পরিচয় তুলে ধরেন। সে সময় শহীদ ঈসমাইল মন্ডলের ছেলে জাহিদ আহমদ মন্ডলও সেখানক উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের সামনে নিজের পিতার হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হল কেন লাশ নিয়ে আলেমদের এই হীন, নিলজ্জ নোংড়য় রাজনীতি? কেন ১০/১৫জন মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হচ্ছে? কি উদ্দেশ্যে? কাদের স্বার্থে? কোন টর্গেটে,,?
কেনইবা জুবায়ের সাহেবের মতো লোক মিথ্যাচারের রাজনীতিতে পা দিলেন। কেন অন্য পক্ষের লোককে নিজেদের লোক বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। কেনই বয় খুন করে আবার সে পক্ষের লেকজনের বাড়ীগড়ে খুনিরা ফের হামলা করছে? কেনই সারা দেশক উল্টো মিছিল, সমাবেশ, হামলা করা হচ্ছে। ৬৪জেলায় মামলার হুমকী দিচ্ছেন নিতিনির্ধারক আলেমরা। কেনই খুন করার ক্ষপ্রতার পর মূলধারাচ্যুতরা জেলা মারকাজ থেকে মিছিল করছেন।
এই লাশের রাজনীতির শেষ কোথায়? কেন শাপলা চত্তরের মতো গুজব ছড়িয়ে মাঠ গডম করে সরলমনা মুসলমানদের ধোকা দেয়া হচ্ছে। কেন উত্তেজনার আগুনে মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকরা বারবার প্রেট্টোল ডালছেন? খুন করে ক্ষান্ত না হয় কোন মুসাদ ষড়যন্ত্রে হৃদয়সম প্রিয় দেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে গৃহ যুদ্ধের দিকে টেলা হচ্ছে। এই জুলুম দেখার কি কেউ নেই,?