শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম | আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ ও তার সহচর কয়েকজনের ফাঁসির দাবি নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়াসহ সর্বত্র সরব একশ্রেণির আলেমগণ। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮ রোববার বাদ মাগরিব, জামিআ ইকরা বাংলাদেশ মিলনায়তনে বক্তব্যে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন,দারুল উলুম দেওবন্দের উলামায়ে কেরাম কখনো সমাজে ফিতনা ছড়ায় না। আমাদের দেশে এখন যারা ফেতনার মূল চাবিকাঠি তারা দেওবন্দ যায়নি, গিয়েছেন পাকিস্তান। আর পাকিস্তানের জন্ম ফেতনার উপর। তারা সবসময় ফেতনা ছড়াবে। আমাদের বাংলাদেশে যারা ফেতনা ছড়াচ্ছে, মিথ্যা প্রচার করছে আমি তাদের নাম ধরে ধরে বলতে পারি। তারা কোথা থেকে পড়ে এসেছে এটা সবার জানা। কিন্তু তারা দেওবন্দের নাম প্রচার করে বেড়ায়, তাদের অন্তরে বিন্দুমাত্র দেওবন্দের প্রতি ভালোবাসা নেই।
আমি আমার সাক্ষাৎকারেও বলেছি, টঙ্গির ইজতেমার মাঠে এই হাঙ্গামা-মারামারির পিছনে তৃতীয় পক্ষের হাত আছে। এই তৃতীয় পক্ষই হলো জামায়াতে ইসলামী। যারা আমার ভাষা বুঝে তারা তখনই বুঝে নিয়েছে, আমি তৃতীয় পক্ষ বলে কাদেরকে বুঝিয়েছি। আমি নির্বাচনে তাদেরকে বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছি, তাই মানুষের দৃষ্টি এখন জামায়াতের দিকে। তারা টঙ্গীতে এই ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের দৃষ্টি তাদের থেকে সরিয়ে নিয়েছে। আর এই হাঙ্গামা-মারামারি দোষ আমার এবং ইকরার উপর চাপিয়ে দিয়েছে। তাই তারা প্রচার শুরু করেছে, ফরীদ মাসঊদের ফাঁসি চাই। ফরীদ মাসঊদের ফাঁসি চাই। কিন্তু তাদের এই বিষয়টা সব উলামায়ে কেরাম বুঝতে পারে না, যেমনিভাবে সব ডাক্তার সব রোগ ধরতে পারে না।ব্যাপারটা হলো এখন টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠে যে ঘটনাটা হয়েছে, ওই ঘটনায় দুই পক্ষর মাঝেই জামায়াতে ইসলামীর চেহারা বদলেছিল। যেমনটা মোনাফিকরা জঙ্গে জামালে করেছিল।
আমরা কিছুদিন আগে একাদশ নির্বাচনে জামায়াত ইসলামীকে বর্জন করার জন্যে একটা আহ্বান জানিয়েছি। তোমরা তো সেটা শুনেছো। নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামির ২২ জন দাঁড়িয়েছে, যদি একজনও পাশ করে আসে, তাহলে সারা পৃথিবীতে তারা প্রচার করবে আমরা ঠিক আছি। বিরোধিতা করে আমাদের কিছু করা যাবে না। সে টার্গেটেই তারা এগোচ্ছে।