রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
তাওফিক আদনান| তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম| গত বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে তাবলীগ জামাতের উদ্দ্যোগে বিভাগ ভিত্তিক উলামায়ে কেরামের জোড় চলছে। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের উলামাদের জোড় অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবারে বগুরা, সিলেট ও রংপুর বিভাগের জোড় অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের জোড় চলছে।
প্রতিটি বিভাগীয় মারকাজে মূলধারার তাবলীগের উলামায়ে কেরাম বয়ান করেন। এসব জোড়ে স্থানীয় তৃণমূলের আলেমরা ব্যপকভাবে অংশগ্রহন করেন। মাদরাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও মুবাল্লিগ আলেমদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি মারকাজে উলামায়ে কেরামের উপচে পড়া ভীর দেখে আপ্লুত হন স্থানীয় চিন্তাশীল আলেমরা। তখন অনেকেই বলেছেন, মিথ্যা প্রোপ্রাগান্ডা চালিয়ে আলেমদের মাঝে ভুল ধারনা তৈরি করা হয়েছিল তাবলীগ ও নিজামুদ্দিন মারকাজের বিষয়ে। তারা তাহকীক করার পর কতিপয় আলেমদের নির্লজ্জ মিথ্যাচারের আসলরূপ বেরিয়ে আসে। ফলে তৃণমূলের আলেমরা এখন নিজেদের ভুল বুঝতে পারছেন।
চট্টগ্রামের লাভলেইন মারকাজে বৃহঃবার জোড়ে বাদ আছর বয়ান করেন, তাবলীগের অন্যতম কেন্দ্রীয় মুরুব্বি মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। বাদ মাগরিব বয়ান করেন, মুফতি নুরুল ইসলাম কাসেমী। এসময় কাকরাইলের মুরুব্বিদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা আনাস বিন মুজাম্মিল, মাওলানা ইসমাইল ও মাওলানা রাফে বিন আকিদুজ্জামান।
বরিশাল আলেমদের জোড় শুরু হয় সকাল ১০টায়। ইস্তেকবালী কথা (শুভেচ্ছা বক্তব্য) রাখেন মুফতি মীযানুর রহমান। বাদ যুহর সংক্ষিপ্ত কথা রাখেন মাওলানা মু’আয বিন নূর। বাদ আছর বয়ান করেন মাওলানা আবদুল্লাহ (কুমিল্লা)। মাগরিবের আগেই দু’আ পরিচালনা করেন কাকরাইলের মাওলানা আব্দুল্লাহ মানসূর। উক্ত জোড়ে অংশগ্রহণ করেন ৩৭০ জন উলামায়ে কেরাম। বাদ মাগরিব শবগুজারীর আ’ম বয়ান করেন মুফতি শামসুদ্দীন কাসেমী। বৃহঃবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মাগরিবের পূর্বে মুনাজাতের মাধ্যমে জোড় সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।
শনিবার খুলনায় আলেমদের জোড়ে বাদ যুহর বয়ান করেন মাওলানা মু’আয বিন নূর। উক্ত মজলিসে প্রায় ১ হাজার উলামায়ে কেরাম অংশগ্রহণ করেন। রংপুরে আলেমদের জোড়ে বয়ান করেন মাওলানা মোশাররফ, মাওলানা সাইফুল্লাহ। বগুরায় মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব বয়ান করেন।
সিলেটে শুক্রবার বাদ আছর থেকে আলেমদের জোড়ে ২ হাজারের মতো উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। বয়ান করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ, কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা আনাস বিন মুজাম্মিল, মাওলানা ইসমাইল ও মাওলানা রাফে বিন আকিদুজ্জামান প্রমূখ।