বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম | তাবলীগের চলমান সঙ্কট নিরসন ও মাওলানা সাদকে নিয়ে বাংলাদেশের আলেমদের ওজাহাতি বক্তব্য সম্পর্কে দারুল উলুম দেওবন্দের অবস্থান জানতে ১৫ জানুয়ারি ভারতে সফর করার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলের।
এ বিষয়ে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের তালিকা ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল আবার ধর্মমন্ত্রণালয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নিয়ে বসতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ক প্রস্তাব এখনো প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অনুমোদন হয়ে আসেনি বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক সচিব মো. আনিছুর রহমান। মুঠোফোনে ধর্মসচিব আনিসুর রহমান একটি অনলাইনকে জানান, প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। রোববার স্বাক্ষর করলে সোমবার পাবো।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিধিরা দেওবন্দ গেলেও ইজতেমা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এ দিকে একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাবলিগ জামাতের আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন ব্যস্ত আছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ দিকে বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, মোট ১০ সদস্যের টিম ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ যাচ্ছেন। ব্যস্ততার কারণে ধর্মমন্ত্রী নাও যেতে পারেন বলে একটি অনলাইন পত্রিকা নিউজ করেছে। অারো জানা যায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঠিক হতে পারে যেকোন মুহুর্তে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাদের টিমে যাওয়ার কথা ছিল তারা হলেন, বর্তমান সরকারের নতুন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, ধর্মসচিব মো. আনিসুর রহমান ও এডিশনাল ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান।
তাবলিগের উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা রবিউল হক, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও মাওলানা আশরাফ আলী।
তাবলিগের চলমান সঙ্কট নিরসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে গত কয়েক মাসে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ ৬ জানুয়ারির বৈঠকে দারুল উলুম দেওবন্দের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে প্রতিনিধি প্রেরণের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।
দেওবন্দ বাংলাদেশের আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে চুড়ান্ত কোন ফায়সালা দিবে না, বা এটি তাদের কাজও নয়, এমনটি বলছেন উভয়পক্ষের আলেমরাই। তারা মনে করছেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সংকট সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই এদেশে শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে সহায়ক হবে।