বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ | তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম
আগামী ১৫,১৬,১৭ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর ময়দানে ইজতেমা নিয়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।তবে ইজতামত উপলক্ষে আলেমদের প্রচলিত ধারার মতো কোন প্রকার চাঁদা কালেকশন,কিংবা বাহ্যিক প্রচারনা, লিপলেট পোষ্টার, ব্যনার মাইকিং সহ আধুনিক প্রচার যন্ত্র ব্যবহার করা হবে না।
সারা দেশে তাবলীগের কাজের গতি বাড়ানোর পরিকল্পনাকে সামনে রেখে ইজতেমার মেহনত করা হয়। বাস্তবিক ভাবে দেখা গেছে ইজতেমা উপলক্ষে তাবলীগের কাজ জ্যামিতিক হারে বেড়ে যায়। ইজতেমার এই ব্যাপকতা তাবলীগের কাজকে বহুগুন আগে বাড়িয়ে দেয়। স্থানীয় প্রসাশন সহ সমাজের সকল সেক্টরে দাওয়াতের কাজের ব্যাপক অংশ গ্রহন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সাধারন পেশাজিবি ও শ্রমজিবী মানুষের মেহনতের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তরুনরা ও সাধারন মানুষ ব্যাপকহারে দ্বীনের মেহনতে শরিক হবার সুযোগ পাচ্ছেন। ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য: লোক দেখানো বা বেশি লোক জামায়েত করা ইজতেমার উদ্দেশ্য নয়। ইজতেমা কোন সমাবেশ নয়।
বরং সারা বছর মেহনত করতে করতে সাথীরা এক জায়গায় সমবেত হন, আবার সেখান থেকে বড়দের পরামর্শে দোয়া মোসাফাহ করে মেহনতের জন্য বেরিয়ে পড়েন। তাই ইজতেমা মূলত আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া এক মেহনতের নাম।
এছাড়া প্রত্যেক জেলা মার্কাজের আজাইম (খুরুজ পরিকল্পনার) ভিত্তিতে ইজতেমায় মুসল্লীদের জনসমাগমেরর চেয়ে আল্লাহর রাস্তায় বাহির হওয়াকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে।
প্রত্যেক জেলা ইজতেমার পূর্বেই নিদৃষ্ট পরিমান (শতাধিক) জামাত বের করতে হবে। কাজের জন্য বাড়িতে থাকতে হবে এমন নীতির পুরো উল্টো, কাবরাইলের মুরুব্বীরা জেলার সব জিম্মাদার সাথীদের পূর্বেই খুরুজ চান।
আল্লাহর রাস্তায় দোয়া কান্নাকাটি ও মেহনতেরদ্বারা গায়বী নুসরত নেমে আসবে। তাবলীগে কাজটিই মূলত সময় ও স্রোতের উল্টো, মখলুক থেকে বেপরোয়া। তায়াল্লুক মায়াল্লাহ আসল বিষয়: ইজতোর দ্বারা বৃষ্টির মতো মানুষ দ্বীলের জমিন নরম ও ত্বীন গ্রহনের জন্য উর্বর হয়ে ওঠে।
তাই ইজতেমাকে ঘিরে এই সকল মেহনত, মোজাহাদা, কোরবানী, দৌড়ঝাঁপেরর মূল বিষয় খালিকের সাথে, মালিকের সাথে নিজের সম্পর্ককে ঠিক করে নেয়া।
দিনে ঘর ঘর ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি দাওয়াতের মেহনত, আর রাতে লম্বা নামাজ ও জায়নামাজে বসে রোনাজারি করার প্রতি জোর দিয়েছেন।
দিনে বান্দাকে আল্লাহর দিকে ডাকা আর রাতে আল্লাহকে বান্দার দিকে ডাকা। হযরতজী আল্লামা সা’দ কান্দালভি দা.বা. বলেন, ইজতেমার মূল মাকসাদ “বান্দাদের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করে দেয়া। তার আগে ইজতেমার আয়োজক ও কর্মিদের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ও তায়াল্লুক মা’আল্লা ঠিক করতে হবে”। তাই প্রথমে আমাদেরকে সেদিকে মনোযোগী হওয়া প্রযোজন।
কাজ করতে করতে যেন মূল মাকসাদটি ভুলে না যাই। আল্লাহ সাথে সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেলে পেরেশানী ছাড়া ইজতেমার ইন্তেজাম হয়ে যাবে। আল্লাহর খাজানা পক্ষে চলে আসবে। আসমান থেকে গায়বী মদদ নামতে শুরু করবে। হে আল্লহ, আগত বিশ্ব ইজতেমা সহ দেশ বিদেশের প্রতিটি ইজতেমাকে কবুল কর। কামিয়াব ও ভরপুর করে দাও। সাথে সাথে তোমার সাথে আমাদের সম্পর্ককে ঠিক করার তাওফিক দান কর। আমিন ।