রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
ইজতেমা ময়দান প্রতিনিধি; তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম
দুই পর্বে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা সমাপ্তির পর টঙ্গী ময়দানের ইজতেমা সামগ্রী গুছানোর দায়িত্ব নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সমণ্বয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারী তাবলীগের বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু মাত্র ৫ দিনের মাথায় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে উগ্রপথে হাটতে থাকেন অজাহাতিরা। সমঝোতা স্মারকে উভয় পক্ষের সাতজন করে ১৪ জন ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ১২ জন অফিসার স্বাক্ষর করেন। এতে উল্লেখ করা হয় ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ৪ (চার) দিন আলমী শুরাপন্থী ও ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা মার্চ ৪ (চার) নিযামুদ্দীনের অনুসারীরা ময়দানের মালামাল গোছানোর কাজ করবেন।
কিন্তু গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ব নিরধারিত তারিখ অনুযায়ী নিযামুদ্দীনের অনুসারী কয়েক হাজার সাথী কাজের জন্য ময়দানে গেলে অজাহাতিরা গেট বন্ধ করে রাখে। এ সময় উত্তেজনা তৈরী হলে প্রশাসন তাতক্ষণিক সিদ্ধান্তে টঙ্গীর মাঠ ও আশপাশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয়।
বারবার প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে হেফাজতপন্থী অজাহাতিরা অমান্য করায় জনমনে যেমন ক্ষোভ বাড়ছে তেমনি প্রশাসনের মাঝে তাদের জঙ্গীপনা নিয়ে তৈরী হচ্ছে সীমাহীন অসন্তুষ্টি।
সচেতন মহল আশঙ্কা করছেন, হেফাজতের এই উগ্রতা ক্রমশ বাড়ার ফলে ইতোমধ্যেই তাবলীগের গণ্ডি ছাড়িয়ে সরকারী মহলেও বেশ তিক্ততা তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব নিকট ভবিষ্যতে তারা সরকারের সাথেও দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যেতে পারে। এভাবে একই সময়ে চতুর্মুখী পরিবেশকে নিজেদের বিপক্ষে ক্ষেপিয়ে তুলে চরম বোকামীর পরিচয় দিচ্ছেন তাবলীগ দখল করতে আসা স্বপ্নচারীরা। তাবলীগের জন্য এটি আশির্বাদের কারণ হলেও অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে হেফাজতপন্থী অজাহাতি ও তাদের নিয়ন্ত্রিত কওমী অঙ্গন।