মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম
বেফাক ও হাইয়াতুল উলয়া হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যর্থাথ নিয়মে প্রবেশপত্র ইস্যু করার ও সংশ্লিষ্ট পরিক্ষাকেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও আজ পরিক্ষার কেন্দ্রে গেলে ১৭৭জন পরিক্ষার্থীর কেউই সংশোধিত প্রবেশপত্র পায় নি। আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হাইকোর্টের রায় মেনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যদি “যর্থাথ প্রবেশপত্র” না দেয়া হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা আদালত অবমাননা করেছেন বলে বিবেচিত হবে। এতে বঞ্চিত মাদ্রাসাগুলো হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন হাইয়া-বেফাকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বয়ে সরকারের অধিনে গঠিত সর্বোচ্চ শিক্ষাবোর্ড ‘আল হাইআতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধিনে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার অধিনে মেশকাত (স্নাতক) পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চিত ১৭৭জনে শিক্ষার্থীর যথাসময়ে মাদ্রাসার নামে পরিক্ষা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছে হাইকোর্ট। গতকাল রোববারের মধ্যে প্রবেশপত্র সংশোধন করে পরিক্ষা নিতে মহামান্য আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রেক্ষিতে গত রাতে বেফাক গণমাধ্যম, সংশ্লিষ্ট মাদরাসা ও পরিক্ষারকেন্দ্রে একটি “জরুরী বিজ্ঞপ্তি” পাঠায় হাইয়াতুল উলিয়ার নাম উল্লেখ করে। তাতে লেখা ছিল, “পরীক্ষার্থীদের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, অদ্য ০৭-০৪-২০১৯ ইংরেজী তারিখে বিকাল ৪:৪০ ঘটিকায় (আনুমানিক) মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং ৩৭৪৮/২০১৯ এর গত ৪-৪-২০১৯ তারিখের আদেশ অত্র হাইআতুল উলয়া কর্তৃপক্ষের হস্তগত হয়েছে। উক্ত
আদেশের বরাতে এই মর্মে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, রীট পিটিশনে বর্ণিত ১৭৭ জন পরীক্ষার্থীর যথাযথ প্রবেশপত্র সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রেরিত হয়েছে এবং তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবেশপত্র রীট পিটিশনে সংযুক্ত করা হয়েছে।”
মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে “পরীক্ষার্থীর যথাযথ প্রবেশপত্র সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রেরিত হয়েছে” মর্মে বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করলেও এই কওমী শিক্ষাবোর্ডের অধিনে আজ অনুষ্টিত আজকের কেন্দ্রীয় পরিক্ষা ১৭৭জনের পরিক্ষার্থীর কেউই সংশোধিত প্রবেশপত্র পান নি। ছাত্ররা পরিক্ষা দিলেও হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে তাদের কাছে নতুন প্রবেশপত্র না দেয়ায় ছাত্ররা মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এখনো তাদের শংকা কাটছে না।
এ ব্যাপারে এক ছাত্রের অভিভাবক আব্দুর রহমান তাবলীগ নিজকে বলেন, বেফাকের একের পর এক হঠকারীরা সিদ্ধান্ত ও পরিবর্তনের নাটকীয়তায় শিক্ষার্থীরা সমাপনি পরিক্ষার সময় মানসিকভাবে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। একটি শিক্ষাবোর্ড তাদের পরিক্ষার্থীদের ফিস নিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার পরে এ রকম মানসিক শাস্তি ও নির্যাতন করার অধিকার রাখে না। আমরা তাদের একের পর এক অন্যায়, অদূরদর্শিতা ও বেআইনি কাজের বিচার চাই।