বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন
মাওলানা হুসাইন আহমদ, তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম | আর মাত্র দুদিন বাকি। আাগামী বৃহস্পতিবার থেকেই সারা দেশের মূলধারা পুরানো সাথীরা আগামী ৬ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ১০ডিসেম্বর মঙ্গলবার ২০১৯ ঢাকার মিরপুরের ইস্টান হাউজিং ময়দানে এই জোড় অনুষ্ঠিত হবে। জোড়ে তাবলীগের ৪লক্ষ তিন চিল্লার জিম্মাদার সাথী এতে অংশ নিতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। জোড়ে তাবলীগের বিশ্ব মারকাজ দিল্লীর নিজামুদ্দীনের শীর্ষ মুরুব্বীগন বয়ান ও মোজাকারা করবেন।
ঢাকা জেলার আশপাশ ও ৬৪জেলাতে প্রতিবছরের ন্যায় ৫দিনের জোড়কে সফল করতে ইউনিয়ন ভিত্তিক হাজার হাজার ৭/১০ দিনের জামাত কাজ করেছে। নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।জোড়ে সারা দেশে একই নিয়মে তাবলীগের কাজ পরিচলনার পরিকল্পনা, বিগত বছর কাজের রিপোর্ট পেশ ও আগামী ১৭,১৮,১৯জানুয়ারী ২০২০ টঙ্গীর ময়দানে ৩দিন ব্যাপি বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি মূলক দিক নিয়ে নিয়ে নির্দেশনা দিবেন দেশী বিদেশী মুরুব্বিগন। জোড় থেকে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে প্রতিটি ইউনিয়নে জামাত প্রেরণ করা হবে বলে আয়োজদের পক্ষ থেকে জানা যায়।
অন্তত ৭০বছর ধরে তাবলীগের বিশ্ব মারকাজ নিজামুদ্দীনের মুরুব্বীদের তত্বাবধানে বাংলাদশের পুরানো সাথীদের এই জেড় অনুষ্ঠিত হয়। এতপ ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের তাবলীগের মুরুব্বীরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মূল বয়ান ও কাজের কর্মপরিকল্পনা করবেন।
জোড়ের প্রথম তিন দিন ৬৪জেলার এক বছরের কাজের রিপোর্ট ও আগামী বছরের কর্ম পরিকল্পনা তাবলীগের মুরুব্বীরা শুনে পরামর্শ দিবেন। পরে সারা দেশের কারগুজারীর আলোকে কেন্দ্রীয় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। জেলার কাজের অবস্থা, অগগ্রতি, সমস্যা ও সম্ভসবনা শুনে তাবলীগের মুরুব্বীরা এর আলোকে বিষয় ভিত্তিক তিনদিন বয়ান করবেন।
পরামর্শঃ
জেলা কাজের বার্ষিক রিপোর্ট ও পরিসংখ্যান অবশ্যই সাথে আনবেন।
♦ আজাইমের কাগজ সাথে আনবেন। প্রয়োজনীয় সকল জিনিস সাথে আনতে ভুলবেন না।
♦প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে নগদ চিল্লার জামাত সাথে আনবেন।
♦ জোড়ে আসতে আমীর ঠিক করে জামাতবন্দি হয়ে আসবেন।
♦আমীরের নিদের্শ এর বাহিরে কোন কাজ করবেন না
♦জোড়ে আসতে অবশ্যই হাড়িবাসন ও প্রয়োজনীয় বিছানা আনবেন।
♦কখনো ছোট বাচ্চা সাথে আনবেন না।
♦যারা পাঁচদিনের জন্য আসবেন তারা মনোযোগ সহকারে বয়ান শুনবেন।
♦থানা থেকে যারা আসবেন ফিরতি গাড়ি ভাড়া করে আনবেন না যাবার টিকেট ক্রয় করবেন না। কারন বয়ানশুনে আপনার দ্বীল তৈরি হলে আপনি চিল্লার সফরে চলে যাবেন।
♦জোড়ের ময়দানের ভিতরে কোনরূপ ভিডিও করার চেষ্টা করবেন না।
♦আশপাশের সাথীরা শুধু লোক দেখতে, ঘুরতে বা কেবল জুমআ নামাজ বা দোয়ার জন্য আসবেন না। আসলে কমপক্ষে ভোর থেকে এশা পর্যন্ত আসবেন। মনযোগ দিয়ে বয়ান শুনবেন।
♦ময়দানে কিছু হারিয়ে গেলে বা পেলে হারানো কামরায় যোগাযোগ করবেন।
♦কোন সমস্যা তৈরি হলে দ্রুত সেচ্ছা সেবক বা আইনশৃংখলা বাহিনী ও মুরুব্বীদের জানাবেন
♦অসুস্থ হলে দ্রুত পত্যেক খিত্তার মেডিকেল অফিসার বা চিকিৎসা টিমের সরনাপ্ন হবেন।
♦ শুকনো খাবার ও পানি সাথে রাখবেন
♦স্কুল কলেজ, মাদরাসা, ব্যাবসায়ী, চাকুরিজীবি, শিক্ষক, আলেম, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আলাদা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান হবে জোড়ের ময়দানে , কখন হবে তা জানতে সংস্লীষ্ট খিত্তাতে খোঁজ নিন।
♦ রাতে যারা থাকবেন বিছানা ও শীতের কাপড় সাথে আনবেন, এবং মাঠের ম্যাপ দেখে আপনার এলাকার সাথে থাকবেন।
♦নিয়ত রাখবেন, জোড়ের উসিলায় আল্লাহ যেন আমাদের হেদায়ত দান করেন এবং হেদায়তের জড়িয়া বানান। আল্লাহ যেন, কবুল করেন সারা দুনিয়ার মানুষের হেদায়তের জন্য তাহরিকে ঈমান বা ঈমানী আন্দোলনের জণ্য।