মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেক্স, তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম | দাওয়াত ও তাবলীগের চলমান সংকটের নেপথ্যে শুরু থেকে যে কয়জন লোক মীল হোতা হিসাবে কাজ করেছে তাদের অন্যতম, হাজী সাহেবের খাদেম মৌলভী ফাহীম। হাজী সাহেবের অসুস্থতার সুযোগে সে তার নামে নানান মিথ্যা কথা বাজারে চালিয়ে দিত।
ফলে বেশ কয়েকমাস ধরে পাকিস্তানের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম রায়বেন্ড মারকাজ থেকে তার অফসরন চাচ্ছিলেন। পাকিস্তানের শীর্ষ আলম ও ফকীহ মাওলানা যারওায়ালী খান, করাচির বিনুনুর টাউন মাদরাসার মুহতামীম মাওলানা নাঈম সাহেব, শায়খুল হাদীস হাযরাত মাওলানা আব্দুর রহমান সাহেব, শায়খুল আদব হাযরাত মাওলানা আব্দুল্লাহ সাহেব, মাওলানা কারাম রব্বানি সাহেব ওইত্তেহাদুল উলামা পাকিস্তান রায়বেন্ড মারকাজ থেকে তাবলীগের বিশ্বব্যাপি সংকট নিরসনে মাওলানা ফাহিমসহ কয়েকজনকে অপসারন চাচ্ছিলেন।
পাকিস্তানের শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে রাইবেন্ডের উদ্দেশ্যে গত মাসে লেখা দুটি চিঠিতে দেশটির শীর্ষ আলেমরা লিখেন, “ভুল প্রদ্ধতির ব্যবহার হনেওয়ালা হাযরাতদের থেকে খাস তিন জন, যারা স্বল্পজ্ঞানের কারনে, না বুঝে, অনুমানভিত্তিক কার্যক্রম, সংকট তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় এবং হযরত মাওলানা ইবরাহীম দেওলা (মাঃজিঃ) কে নিজামুদ্দিন ফেরত আসতে এবং মাওলানা সাদ সাহেব (মাঃজিঃ)কে পাকিস্তান আনতে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আমরা অনুরোধ পেশ করছি যে, (১) মৌলভী ফাহিম সাহেব রাইবেন্ড (২) ডঃ সালিম সাহেব রাইবেন্ড (৩) ডঃ নাদিম আশরাফ সাহেব রাইবেন্ড এই তিন হযরতদেরকে এখনি মাকামী কাজের জন্য তাশকিল করে দেওয়া হোক। যাতে করে মসজিদওয়ার কাজ যা উনারা এতোদিন তরগীব দিয়েছেন তার উপর এখনি আমল করার ভরপুর সুজোগ পান।”
এসবের ভিতরই ১৮নভেম্বর হাজী সাহাবের জানাজার সময়, মৌলভী ফাহিম মিম্বর থেকে মাওলানা তারিক জামিল সাহেবকে বক্তব্যরত অবস্থায়, বক্তব্য শেষ করার সুযোগ না দিয়েই দৃষ্টিকটু ভাবে সরিয়ে দেয় এবং এক টুকরা কাগজ বের করে। এমন কি মৌলভী বাটলাও (১৯৯৮ সালের সি আই এ ফাইল স্ক্যান্ড্যালের সাথে জড়িত) বিষয়টি জানতেন না। তাঁকেও উৎসুক ভাবে ঐ কাগজের টুকরার দিকে উঁকি মারতে দেখা গেছে। মৌলভী ফাহিম নিজে পরবর্তী দায়িত্বশীল কে হবেন ঘোষণা না করায় মৌলভী বাটলা সুযোগ গ্রহণ করেন এবং পরিষ্কার ভাষায় ঘোষণা করেন পরবর্তী দায়িত্বশীল হবেন মাওলানা নজরুর রহমান। তিনি তখন হাজী সাহেব রহঃ এর জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এভাবে মুলতঃ হাজী সাহেব রহঃ এর জানাজার সাথে সাথে তাঁদের বহুল আলোচিত “রোটেশন পদ্ধতির ফয়সাল” তত্ত্বের জানাজাও হয়ে যায়।
কোনরূপ মাশওয়ারা ছাড়াই মৌলভী ফাহিমের ১৫লক্ষ মানুষের সামনে পাকিস্তান তাবলীগের নতুন আমীর ঠিক করায় নতুন করে ফেৎনাট আগুনের মাঝে যেন ঘি ঢেলে দেয়। একদিকে নিজামুদ্দিনের অনুসারী পাঠান, বেলুচিস্থানীরা ও আলেমগণ তার এই অপকর্ম যেমন মেনে নিচ্ছেন না, তেমনি কথিত আলমী শুরাকে দমন করে মৌলভী ফাহিমের একক আমির নিয়োগের বিষয়টিও ওয়ার্ল্ড কাউন্সিলের নেপথ্যের নায়করা মানতে পারছেন না।