রবিবার, ০৭ মার্চ ২০২১, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢِ
১. আলেম উলামাদের সাক্ষৎ করাকে নিশ্চিত রূপে ইবাদত মনে করবেন।
২.এলেম অর্জনের আধুনিক উপায় (যেমন নিজে নিজে বই পড়ে,ইন্টারনেটের মাধ্যমে, কম্পিউটারের মাধ্যমে ইত্যাদি) এর মাধ্যমে এলেম অর্জনের মাধ্যম মনে করে আলেমদের সংস্পর্শ থেকে বঞ্চিত হবেন না,এলেম
শিক্ষার পরিবেশ থেকে নিজেকে দূরে রেখবেন না।
৩.মাদ্রাসাকে এলেমের দূর্গ মনে করবেন। এটা আমাদের মূল বুনিয়াদ ও ফাউন্ডেশন । জান মাল লাগিয়ে এলমে নববীর বাগানকে টিকিয়ে রাখতে হবে । এখানে বেশি বেশি সাহায্য সহযোগিতা করবেন। বেশি বেশি যাতায়াত
করাকে কতব্য মনে করবেন। উলামাদের কাছে গেলে আদবের প্রতি লক্ষ রাখবেন।
৪.নিজ দায়িত্বে এলাকায় মক্তব চালু করবেন।যেন এমন কোন শিশু বড় না হয় যে কোরআন পড়তে পারে না। তালিমের দ্বারা মা তৈরি হবে । বাচ্চা বনবে ।
মাদরাসাতে , খানকাতে , তাবলিগে তরবিয়ত
হয় না । তরবিয়তের জায়গা হলো মায়ের
কোল । আজ সে কোল
খালি করে কিন্টারগার্ডেন
তুলে দিচ্ছে মারা বাচ্ছাকে। আর
কেজি স্কুলের কুপ্রভাব বাচ্ছাদের উপর
পরছে । সে পরিবেশে তারা গড়ে উঠছে ।
মুসলমানদের সন্তানদের কোরআনের
আলোতে আলোকিত করে গড়ে না তুললে এর
পরিনাম হবে ভয়াবহ ।
৫.সকল সমস্যার সমাধান নামাজের
দ্বারা (আল্লাহর থেকে) সমাধানের
চেষ্টা করবেন। যার নামাজ ঠিক হবে তার
জীবন ঠিক হয়ে যাবে ।
৬.ঘরের মধ্যে তালিম চালু কর।বদ দ্বীন দূর
হয়ে যাবে। ঘর হলে মেহনতের প্রথম ময়দান।
রাসুল সাঃ ঘর থেকে নবুওতের কাজ চালু
করেছিলেন । এই তালিমের প্রভাবে উমর
রাঃ এর মতো লোক ইসলামে এসেছেন , যার
ব্যপারে বলা হতো . খাত্তাবের গাধা ইসলাম
গ্রহন করতে পারে কিন্তু খাত্তাবের
বেটা ইসলাম গ্রহন করবে না ।
৭.রেওয়াজি (প্রচলিত) মেহনত দিয়ে দ্বীন
জিন্দা হবে না। বাতিলের তরিকায় দ্বীন
প্রতিষ্টিত হয় না । রেওজের
তরিকাতে কাজ করলে রেওয়াজের প্রচার
হবে দ্বীনের নয় । সাহাবাওয়ালা ত্বরিকায়
মেহনত করতে হবে।এজন্য
বেশি বেশি করে হায়াতুস সাহাবা কিতাব
পড়ুন।
৮.মানুষকে মসজিদের দিকে ডাকুন।
মসজিদের পরিবেশে এনে তাকে দাওয়াত
দিন। উম্মতের বিপর্যয়ের কারন ঈমানের
দুর্বলতা আর মসজিদ বিমূখতা । মসজিদ
কেবল নামাজের ঘর নয় উম্মাতের সকল
সমস্যা সমাধানের কেন্দ্রবিন্দু । ঈমান
এলেম আখলাক আর ঐক্যের বন্ধন শিক্ষার
জায়গা মসজিদ। মসজিদে এসে উম্মাহ
হয়ে কাজ না করার কারনে আজ
আমরা দলে দলে , মতে মতে ভাগ হয়ে আছি ।
মসজিদে ২৪ ঘণ্টা আমল চালু রাখবেন।
৯. এতেয়াত হেদায়তের দরজা । যার
মধ্যে এতেয়াত নেই সে হেদায়ত
থেকে বঞ্চিত হবে । বিবেদ আর
অনক্যে দ্বীল মরে যায় । হেদায়তের তলব
আর হক চিনা ও বুঝার ক্ষমতা চলে যায় ।
এজন্য উলামাদের ও সম্মান এতেয়াত
করতে হবে।
১০. দাওয়াতের কাজে এলেম ও জিকির পাখির
দুই ডানার মতো । আর এলেম ছাড়া জিকির
অসংখ্য ফেৎনার কারন।
১১.দ্বীনের সকল শোভাকে হক মনে করা ।
যে একমাত্র নিজেকে হক মনে করে আর
অন্যদেরকে বেহক মনে করে তার গুমরাহির
জন্য এতোটুকোই যতেষ্ট। উলামাদের কোন
কাজ যেন আমাদের কাজের দ্বারা নষ্ট
না হয় বরং সকল হকের
গাছে আমরা পানি দেব ।
মাদরাসা খানকা জিহাদ সব কিছুই হকের
কাজ ।
১২. এটাকে (সরকার)
নামিয়ে ওটাকে তুললে সমাধান
হবে এটা কুফরির আলামত । সমাধান কেবল
যে কাজের জন্য আল্লাহ পাঠিয়েছেন
সে কাজ করতে থাকা । একাজের
দ্বারা ঈমান ও আমলকে বানাও আল্লাহ
শান্তির ওয়াদা করেছেন , ওয়াদা করেছেন
খেলাফতের ।
১৩. দ্বীনের মেহনত এভাবে করো যে নিজের
যানমালকে কুরবানী করারত
সাহাবাওয়ালা জজবায় । সাহাবারা মেহনত
করতে করতে ফকির হয়ে গেছেন আর
আমরা মেহনত করে কেবল ধনী হচ্ছি ।
নিজের দিকে না থাকিয়ে দ্বীনের
দিকে তাকিয়ে একমাত্র আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে হবে দ্বীনের
জন্য জান দিবে কিন্তু মুমিন দ্বীনের
খতিকে বরদাশত করবেনা। এজন্য
আগে মুসলমানকে পরিপূর্ণ মুসলমান
হতে হবে ।
১৩. আজ মুসলান আর কাফেরের
মধ্যে প্রার্থক্য বূঝা যায় না । যার
মধ্যে সুন্নত নেই তার পরিপূর্ণ ঈমান নেই।
ঈমানের আলামত ই হলো সবকিছুর উপর
আমার নবীর সুন্নতকে প্রাধান্য দিব।
১৪.তিন ধরনের লোক আল্লাহ
থেকে কিছু নিতে পারে না।
এক,যারা এই এয়াকীন রাখে যে আল্লাহই
সব করেন কিন্তু দেবদেবীরর
মাধ্যমে করেন।
দুই,যারা এই এয়াকীন রাখে যে আল্লাহই
সব করেন কিন্তু আসবাবের (টাকা পয়সা,
চাকরি, ঘরবাড়ী, ব্যাবসা ইত্যাদি)
মাধ্যমে করেন।
তিন,যারা এই এয়াকীন
রাখে যে আল্লাহই সব করেন কিন্তু পীর,
মুর্শিদ, গাউস কুতুবের মাধ্যমে করেন।
এই তিনধরণের লোক মুশরিকদের
অন্তর্ভুক্ত ।
১৫. উম্মত যতো দিন পর্যন্ত
সমষ্টিগতভাবে দাওয়াতের রাস্তায় ছিল
ততোদিন দ্বীনে ছিল । আর যখনি হকের
দাওয়াত ছেড়ে দিয়েছে তখনি বাতিলের
দাওয়াতে পড়েছে । আজ বাতিলের প্রভাব
উম্মাহর ব্যক্তি পরিবার রাষ্টের সকল
ক্ষেত্রে । এজন্য দাওয়াতের
কাজকে আকড়ে ধরতে হবে। নিজের ও
উম্মতের ঈমান ও আমলকে সংশোধনের
জন্য রাসুল সাঃ এর
নুরানী তরিকাকে সাড়া দুনিয়ায়
জিন্দা করার উদ্দেশ্য দাওয়াতে ইলাল্লাহক
জীবনের একমাত্র মাকসাদ বানিয়ে মেহনত
করতে হব ।