শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম | হাজী আব্দুল ওয়াহাব রহ আর আমাদের মাঝে নেই। চলেন গেছেন মহান রব, রফিকে আলার সান্নিধ্যে। রেখে গেলেন অসংখ্য রাহবারী। তিনি আজীবন নিজামুদ্দিনের তারিফ করতেন।
নিজামুদ্দিনের জন্য আজীবন তাশকীল করে গেছেন। নিজামুদ্দিনের চার দেয়ালের মধ্যে নিঃশ্বাস নিলেও ঈমান বাড়ে, এমনই ছিল তাঁর বিশ্বাস। ২০১৬ সালের জুন মাসেও আমাদের মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব এমনই সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই কথাগুলো মৃতের পূর্বে সকল সাক্ষাৎপ্রার্থীদের বলতেন। এরকম বেশ কিছু অডিও আমাদের হাতে এসেছে।
কাকরাইলের সাবেক শূরা মাওলানা উমর ফারুক সাহেব তখন পাকিস্তান সফর করে এসে সারাদেশে তৈমাসিক জোড়ে নিচের কথাগুলো বলেছিলেন। এখন ফেৎনার সময় পাল্টাপাল্টি অনেক কথা বলছেন কম বেশি করে। কিন্তু তখনকার কথাগুলো ছিল রিয়াল। সেটার উপরই আমল করা জরুরী।
মাওলানাসাদ সাহেব তাবলীগ ছেড়ে দিলেও কি করতে হবে এটি পষ্ট করেই হাজী সাহেব অসিয়ত করেছিলেন। কতোদিন পর্যন্ত কি আকড়ে ধরলে কাজ চলবে সেটাও বলেগেছেন। তিনি ছিলেন আহলে কাশফ। হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি শয্যাশায়ী হলে, বা মৃত্যুর পর এই দাওয়াতের কাজকে তার মার্কাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র হতে পারে। আর অনেক কাজ করনেওয়ালা এই ফিৎনায় জড়িয়ে যেতে পারেন। তাই তিনি তাদেরকেই নিজামুদ্দিন মারকাজ আকড়ে থাকতে বলপছিলেন আজ যারা তার কথাকে ভুলে গিয়ে বিদ্রোহ করেছেন।
“কামকে আল্লাহ তায়লার কাছে কবুল করাইয়াছেন, যার ফলে মানুষ ঘরে ঘরে পাইতেছে, তাই এ কাম আগে বাড়তেছে।নিযামুদ্দিনের মাটিকেও আল্লাহ তায়লার কাছে কবুল করাইয়াছেন।
এই কাম দুনিয়াতে ততদিন পর্যন্ত চলবে, যতদিন পর্যন্ত নিযামুদ্দিন থেকে হরকতটা চালু থাকবে, এরপর আরো কঠিন কথা বললেন, আমার মনে হয় যে কোনো শব্দ এদিক ওদিক হয়নি আমার, কারণ এ কথাটা আমার কানে প্রায় বাজে,,,,,,,,,,,!!!
এরপর বললেন হযরত মাওলানা সাদ সাহেব ও হযরত মাওলানা জোবায়েরুল হাসান সাহেবের দিকে ইশারা করে যে, কখনো যদি এই সাদ ও জোবায়ের এই কামকে বন্ধ করে দেয় (খোদা না করুক) তখন আমাদের সারা দুনিয়াময় কাম করনেওলাদের জন্য জরুরী হইল তারাতারি নিযামুদ্দিনে পৌছে যাওয়া, ওখানে থেকে কামকে হরকতের উপর রাখা, কারণ ওখান থেকে যদি কাম বন্ধ হয়ে যায় সারা দুনিয়ায় কাম টিকাইয়া রাখার আর কোনো জায়গা নাই।
এটা ঐ ব্যক্তি বলেছেন, যাকে সারা দুনিয়াতে তাবলীগ এর মুরুব্বী হিসাবে একবাক্যে চিনে(হাজী আঃ ওয়াহাব সাহেব) এবং যিনি বর্তমানে যারা বেচে আছেন, তাদের মধ্য থেকে হযরতজী ইলিয়াস রহঃ থেকে সবচে বেশি সোহবত নিয়েছেন, এবং নিজেকে হার লাইনের কুরবানির উপর খাপাইছেন,।
হযরতজী ইলিয়াস রহঃ এর যামানাতেও এবং হযরতজী ইউসুফ রহঃ এর যামানাতেও, এটা ওনার নিজের জবানের কথা!!!!
সুতরাং কাম সারা দুনিয়াতে আসুক,চলুক,কাম কামের জজবা আমার ভিতরে পয়দা হোক আমার ভিতরে কামের যোগ্যতা পয়দা হোক, এটার জন্য আমাকে নিযামুদ্দিনে যাইতে হবে, যে যাইতে পারতেছিনা তাকে কাঁদতে হবে, আল্লাহর কাছে তাওবা করতে হবে, আয় আল্লাহ এই কামের মার্কাজ যেখানে ঐখানে আমি কেনো যাইতে পারতেছিনা?
এটাতো কেউ কাউকে তাশকিল করার বিষয় না, এটা অত্যন্ত গর্হিত কথা যে কেউ আমাকে নিযামুদ্দিনে যাইতে তাশকিল করতেছে,,
আর আমি এলাকায় কাম করনেওলা হিসেবে পরিচিত যদিও কাম করনেওলা ‘না’
কিন্তু মানুষ আমাকে কাম করনেওলা মনে করে,,,,!!!
আমার জন্য সত্যই বড় অপমানকর কথা,, বড় লজ্জাকর কথা যে আমার ভিতরে নিযামুদ্দিনে যাওয়ার কোনো জ্বলন নাই, কোনো ব্যথা নাই, কোনো তলব নাই, কোনো জজবা নাই, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, এই আমার দেশের গন্ডিতে আছি, এর ভিতরেই আমি নিজেকে খাপিয়ে রেখেছি।
(নিচে ভিডিওতে সম্পূর্ণ শুনুন)
২০১৬ সালে কাকরাইলে ত্রৈমাসিক মাশোয়ারায় আসরের আগে মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব এভাবেই তারগীব দিয়ে জেলার শূরা হযরতগণকে নিযামুদ্দিনের এতায়াতের উপর জমে থাকার জন্য তৈরী করেন, কথাগুলো যে হাজী আঃ ওয়াহাব সাহেব বলেছেন সেটাও তিনি সে বয়ানে বলেন।
এখন ভাববার বিষয় হলো, হযরতজী সাদ সাহেব হাফিঃ এবং মাওলানা জোবায়েরুল হাসান রহঃ উনারাও যদি নিযামুদ্দিনে যাওয়া বা কামকে বন্ধ করে দেন তবে পুরা দুনিয়ার কাম করনেওলা সাথীদের জন্য জরুরী হইলো খুব তারতারি নিযামুদ্দিনে গিয়ে কামকে হরকতের উপর রাখা,
এখন এটা সময়ের দাবি হালের তাকাজা, সকল কাম করনেওলা সাথীরা দ্রুত নিযামুদ্দিনের দিকে রওনা হওয়া,,
এবং যারা যেতে পারছি না,, তাদের কে কাঁদবার কথা বলা হয়েছে,, আল্লাহর কাছে তাওবা করার কথা বলা হয়েছে,,
নিযামুদ্দিনে যেতে না পারাটা লজ্জাকর, অপমানকর, গর্হিত কাজ বলে উল্লেখ্য করেছেন,।