শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি, তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম। টঙ্গীর ময়দানে ৫দিনের জোড়ে বাঁধা দিতে কথিত জমহুর আলেমরা অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করছেন মাদরাসার ছোট ছোট ছেলেদের। এই ঘটনায় বিস্মৃত গোটা বাংলাদেশ। তাহলে কী এই মাদরাসার ত্বালাবাদের ব্যবহার করে ত্বালেবাম রাষ্ট্রের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
আজ সকালে তাবলীগের মূলধারার লক্ষ লক্ষ সাথী ইজতেমার মাঠে গেলে প্রতিটি ফটকে নাবালেক শিশু কিশোর মাদরাসার ছাত্রদের লাটি হাতে দেখা যায়। এভাবে শিশু কিশোরদের ডাল হিসাবে ব্যবহার করা কতোটা অন্যায় এমন প্রশ্ন লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লীর।
তারা বলছেন,মাদরাসার ছাত্রদের চাপ দিয়ে সাম্প্রদায়িক,সংঘাতময় ও ধর্মীয় বিতর্কিত কাজে বারবার ব্যাবহার করা হচ্ছে। এমনকি আামাদের কলিজার টুকরো সন্তানদের হাতে লাঠি তুলে দিয়ে,কখনো কাফনের কাপড় পড়িয়ে সংঘর্ষে নামিয়ে দিচ্ছেন। ফলে ক্রমশ তারা উগ্র, অবাধ্য,ও সহিংস হয়ে উঠছে বা তাদের মন মানসিকতাকে পরোক্ষভাবে উগ্রপন্থী করে তোলা হচ্ছে। ফলে আমরা আমাদের সন্তসনদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছি।
এছাড়া নানান সংঘাতের মুহূর্তে পুঁজি হিসেবে বারবার মাদরাসার অবুঝ কোমলমতি ছাত্রদের সামনে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যেমন, মসজিদ দখল, ইজতেমার মাঠ দখল, দিনের পর দিন ক্লাস বন্ধ করে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ওজাহাতি জোড়ে ব্যাবহার করা এখনি আইন করে বন্ধ করা দরকার।
গতকয়েকদিন ধরে ঢাকার অসংখ্য মাদরাসার ছাত্র দিয়ে টঙ্গীর ময়দান দখল রাখা হয় জঙ্গি স্টাইলে। এপেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মূলধারার তাবলীগের সাথীরা জানান, বিগত কয়েকদিন যাবৎ টঙ্গীর ময়দান পাহারার নামে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদের লাটিসোটাসহ ময়দানে জড়ো করা হয়েছে।
ধর্মীয় সংঘাতময় কাজে এভাবে শিশু কিশোরদের ব্যবহার করা সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, মানবিক ও শিশু আইনে মারাত্বক অপরাধ ও অন্যায় গর্হিত কাজ বলে বিবেচিত। ৫দিনের তিনচিল্লার সাথীদের জেড়ের দিন কোনভাবেই টঙ্গীতে ছাত্রদের থাকার সুযোগ নেই। থেকে সারা দেশের তাবলীগের সাথীরা যথানিয়মে টঙ্গীর ময়দানে পৌছবে।
এতে করে যদি মাদরাসার ছাত্রদের উস্কে দিয়ে কোন প্রকার, দুঃঘটনা বা সংঘর্ষ বা সংঘাত ঘটে এরদ্বায়ভার অবশ্যই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসার উস্তাদ, মুহতামিম ও কতৃপক্ষকে নিতে হবে।