সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন
তরিকুল হাদী | মুলত তাবলীগের দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা নিজেদের ভেতরের অভ্যান্তরীন দন্ধ থেকে। সাআদ সাহেবের অনুসসরী আর যোবায়ের জুবায়ের সাহেবের অনুসসরী। তথ্য নিয়ে জানা গেলো যোবায়ের গ্রুপের পূর্বের নীল নকশা অনুযায়ী আজকের মূল সংঘর্ষ।
যোবায়ের গ্রুপ সব সময় নিজেদেরকে আড়ালে রেখে মাদ্রাসার ছাত্র উস্তাদ ও হেফাজত ইসলামকে ব্যবহার করে স্বার্থ উদ্ধার করে আসছে। সাআদ গ্রুপের পূর্ব ঘোষিত জোড় কে টঙ্গীতে না করতে দেওয়ার জন্য যোবায়ের গ্রুপ পূর্ব থেকে মাঠে নিজেদের জোড় করার জন্য কাজের নামে সকল ঢাকার মাদ্রাসার মোহতামীমদের ও হেফাজত নেতাদেরকে দাওয়াত করে টঙ্গী মাঠে জড়ো করে ১৯ শে নভেম্বর সোমবারে আজকের ঘটনা ঘটানোর নীল নকশা করে। যা এর আগে নিউজও হয়। কোন তারিখে কোন কোন মাদরাসা আসবে এর তালিকা দেয়া হয়।
সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নেই যে সাআদ সমর্থকরা যেন জোড়ের জন্য টঙ্গীতে না ঢুকতে পারে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। সুতরাং টঙ্গী মাঠ দখল ও পাহারার জন্য সকল মাদ্রাসার ছাত্রদের কে বব্যহার করা হবে। যা ছিল পূর্বের সকল নিয়ম বিরোধী সিদ্ধান্ত ফলে যোবায়ের গ্রুপ নিজেরা নামে মাত্র কাজের নাম করে কিছুলোক মাঠে থেকে সব মাদ্রাসার থেকে খোজ করে লিস্ট দেখে দেখে মোবাইল করে কাজের নামে ছাত্র মাঠে জড়ো করে। অন্য দিকে যোবায়ের গ্রুপ অর্থ লোবিং দেখিয়ে মোহতামীমদেরকে ফোন করে করে ছাত্র মাঠে যোগায়। যখনই সাআদ সমর্থকগন জোড় করার সময় হয় তখন যোবায়ের গ্রুপ মাঠে খুব কঠোর পাহাড়াদারী ছাত্র এনে করাই। নিজেদেরকে আড়াল করে তারা ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে।
তারা ভাল করেই জানত যে সাআদ সমর্থক কয়েক লাখ তিন চিল্লার সাথী মাঠে আসবেন। তখন ছাত্রদেরকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তাদের ঠেকিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল তারা করবে।সংঘর্ষ হলে সাআদ গ্রুপ কিছু না করলেও দোষী তারাই হবে যোবায়ের গ্রুপের সেই নীল নকশাই বাস্তবায়ন হয়।
যোবায়ের গ্রুপ আগ থেকেই নিজেদেরকে আড়াল করে ছাত্রদেরকে উস্কানি দেয়ে ছাত্রদেরকে সংঘর্ষে ব্যবহার করেন।সাআদ গ্রুপ যখন সকল গেইটে মাঠে ঢুকার জন্য জরো হন তখন ছাত্ররা গেইট বন্ধ রেখে বাধা দেন।
উস্কানিমূলক কথা বলেন। একপর্যায়ে সাআদ গ্রুপের উপর ইটমেরে ছাত্ররা আক্রমণ করে।অন্য দিকে তারা দূরথেকে সফর করে এসে ক্লান্ত ও বিরক্ত। তাই তারাও ক্ষেপে গিয়ে ধাওয়া করলে ছাত্ররাও ধাওয়া করেন তখন আক্রোশের মূখে পরে ছাত্ররা তাদের হাতে হতাহত ও আহত হয়।যোবায়ের গ্রুপের নাটকীয় অবস্থান ছিল মাঠে। তারা নামে মাত্র স্বল্প সাথী ছিল।বাকি সবখানে ছাত্র ব্যবহার করে।
ঘটনা বিশ্লেষণ করলে যোবায়ের গ্রুপেই দোষী। ছাত্রদেকে নিজ স্বার্থের জন্য অন্যায়ভাবক ব্যকমেইল করে ব্যাবহার করেছে। শিশুদের ঢাল বানানোর চেয়ে পৃথিবীতে নেক্কারজনক আর কোন কাজ হতে পারে নস।
তাদের টর্গেট ছিল ছাত্রদের রক্ত তারা ঝরিয়ে পরিবপশ উতপ্ত করা ও সারা দেশে সংঘাত ছড়িয়ে দেয়া, এমনটাই বাস্তবতা। কিন্তু যোবায়ের গ্রুপ সেই বাস্তবতাকে আড়াল করে পূর্ণ দোষ মূলধারা সাথীদের উপর চাপানোর জন্য তড়িত গতিতে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়। সেই সাংবাদিক সম্মেলনেও তাবলীগের দুই মুরুব্বী ছাড়া হেফাজতের শীর্ষ নেতারা ছিলেন।
এদের এই চক্রান্তও বিশ্লেষকদের কাছে স্পষ্ট। ছাত্রদের ও আলেমের রক্ত ঝরানো, সাদ অনুসারী একজনকে হত্যা করার দায় যোবায়ের গ্রুপের উপরে আসবে।এরাই এর ফল ভোগ করবে এমনটিই বিশ্লেষকদের কথা। যোবায়ের সাহেবই এর সকল কৈফিয়ত দিতে হবে। লক্ষ লক্ষ তাবলীগ সাথী ভিতরে ডুকল একজন ছাত্র খুন হল না বরং তাদের উত্তম ব্যাবহারের মাধ্যমে মাঠ থেকে বের করার অসংখ্য ভিডিও স্যোসাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে আছে। আর জুবায়ের গ্রুপের কিলিং টর্গেটে ঠিকই একজন মূলধারা তাবলীগের সাথীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এই মূল ঘটনাকে আড়াল করতে এখন সোসাল মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে ছড়ানোর চেষ্টা করা হলেও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে সকল তথ্য বেরিয়ে আসছে। এখন প্রয়োজন বিচার বিভাগীয় তদন্ত।