বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
ষ্টাফ রিপোর্টার, তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম | সম্প্রতি বাংলাদেশে ‘সাউন্ড গ্রেনেড’খ্যাত মামুনুল হক সহ কয়েকজন আলেম চরম উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। সম্প্রতি উত্তরা ১৩নং সেক্টরস্থ গাউছুল আযম মসজিদের খতিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীর একটি উষ্কানীমূলক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাকে মূলধারার সাথীদেরকে ‘বেঈমান’ ঘোষণা দিতে দেখা গেছে। সেই ভাইরালকৃত ভিডিওটি এখানে তুলে ধরা হলো।
ভিডিওটির ৪:৪৫ মিনিট থেকে ৫:৫০ মিনিট পর্যন্ত তিনি বলেনঃ “এতেতিদের তওবা করতে হবে। কিন্তু মুখে ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বললেই তওবা হবে না। তখনই তোমাদের তওবা কবুল হবে, যখন আহমদ শফির নেতৃত্বে এদেশে নাস্তিক মারার যুদ্ধ হবে সেই যুদ্ধে যদি তোমরা নাস্তিকদের থেকে বদলা নিতে পারো তাহলেই কেবল তোমাদের তওবা কবুল হবে। এই যুদ্ধ সংগঠিত হবে সেনানায়ক আহমদ শফির নেতৃত্বে। এই বুড়া মানুষটি যখন ডাক দিবেন তখন তোমরা এতেতিরা রাস্তায় নেমে নাস্তিকদের সাথে যুদ্ধ করবে। নাস্তিক মেরে এদেশকে নাস্তিক মুরতাদ মুক্ত করতে পারলে তোমাদের তওবা কবুল হবে।” দেশজুড়ে হঠাৎ ‘নাস্তিক মারা’ যুদ্ধের প্রকাশ্য ঘোষণায় বিষ্মিত হোন সচেতন দ্বীনদার মানুষ। মাদরাসার ছাত্রদেরকে একের পর এক মারামারিতে লেলিয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলো কি তাহলে একই সূত্রে গাঁথা? কোন গোপন ‘মিশন’ বাস্তবায়ন করার জন্যই কি এখন থেকে ছাত্রদেরকে তারা প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছেন? এরকম আরো প্রশ্ন করেন শান্তিকামী সচেতন মহল।
ভিডিওটির ৬:৩৮ মিনিট থেকে উত্তেজিত জনতা স্লোগান দিতে থাকেঃ এতাতিদের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও। এতাতিদের আস্তানা, বাংলাদেশে হবে না।
৮:০০ মিনিটে তিনি বলেন, এতাতিরা ঈমানদারই না।
প্রথম অর্ধ মিনিটে তিনি বলেন, গত ১০ই ডিসেম্বর হাটহাজারীতে অনুষ্ঠিত তাবলীগের ‘কমিটি গঠন’ মজলিসে আমীরে হেফাযত এই দু’আ করেন “আল্লাহ! আমি বুড়া মানুষ, এই ঘটনার বিচার দেখবার চাই”। বিষয়টি নিয়ে মূলধারার একজন আলেমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, দু’টি কারণে আমরা নির্ভিক, নিশ্চিন্ত। ১. শকুনের দু’আয় গরু মরেনা। ২. ঘটনাটি ৪ঠা নভেম্বরের ৪০দিনের মধ্যেই ঘটেছে। তাই চিন্তার কোন কারণ নেই।
উল্লেখ্য যে, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী একজন পেশাদার বাজারী বক্তা। প্রতি রাতে ৪০/৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে ওয়াজ করে হেদায়েত ফেরি করে বেড়ান। তার একের পর এক উগ্রতাপূর্ন ও উস্কানীমূলক বক্তব্য দেশকে ক্রমশ জঙ্গিবাদ ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন দেশপ্রেমিক জনগণ।