রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম| সংবেদনশীল তিন তালাক বিলের উপর বুধবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে রাজ্যসভা। বিরোধী দলগুলির দাবির মুখে বিলটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তিন তালাক বিল নিয়ে ভারতের মুসলমানদের মাঝে প্রচন্ড বিক্ষোভ চলছিল।
ইতিমধ্যেই এসবের ভিতরেই লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে তিন তালাক বিল। লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বিরোধীদের শত আপত্তি সত্ত্বেও অনয়াসে ওই বিল পাস করিয়ে নেয় সরকার।
আজ সোমবার বিলটি পেশ করার আগে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। কেননা আলোচনায় বসার আগে বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানায়।
কংগ্রেসের নেতারা প্রথম বিলটি একটি নির্বাচন কমিটির দ্বারা তদন্তের দাবি জানান। তবে সরকার এ বিষয়কে ‘বিরোধী দলের রাজনীতি’ বলে অভিহিত করে।
গোলাম নবী আজাদ সংসদে আলোচনায় বসার আগে ট্রিপল তালাক বিল দেখার জন্য একটি সিলেক্ট কমিটির তদন্তের অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, “বিলটি প্রথমে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো উচিত। প্যানেলে পাস না করে আলোচনা করা যাবে না”। বিলে অভিযুক্ত স্বামীদের তিন বছরের হাজতবাসের যে ধারা রাখা হয়েছে, তার বিরোধিতা করছে বিরোধী দলগুলি।
সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “সরকার এই বিল নিয়ে আলোচনায় আসতে প্রস্তুত। মামলাটি মানবতার, মানবিকতার খাতিরেই সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার পরেও তিন তালাক দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি বিরোধী দলের কোন পরামর্শ থাকে, তাহলে আমরা শুনবো, কিন্তু এই বিলটিকে থামিয়ে না।”
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের দাবী, বিলটি নিয়ে সরকার জণগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস সংসদ আনন্দ শর্মা বলেন, “বিরোধী দল নয়, সরকারই বিলকে নিয়ে রাজনীতি করছে। তিনি বলেন যে আইনী তদন্ত ছাড়া কোন আইন পাস করতে পারে না।” অতএব তারা আবার এই বিলকে আইনী তদন্তের জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠানোর দাবি করে।”
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “সকল বিরোধী দলকে বিজেপির এই মুসলিম-বিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করতে হবে। সরকার জোর করে তিন তালাককে বন্ধ করতে চাইছে, যা ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয় অখণ্ডতার জন্য বিপদ বলে মনে করি।” এরূপ পরিস্থিতিতে আগামী ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ পড়ল বিলটাতে।