রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
ইবনে ইলিয়াস, তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম |
নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের তত্বাবধানে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। একেকটি আমলের সময় মিম্বরের চারপাশে লাখ লাখ মানুষের নিরব মনযোগী নিরব মজমা দেখলে কার না হৃদয় জুড়াবে
এখন দ্বীতিয় দিনের বাদ মাগরিব বয়ান চলছে। মিম্বরের সামনে বিশাল মাঠজুড়ে মজমা। যতটুকো চোখ যায় পিনপতন নিরব আনুগত্যশীলদের মজমা। সবার একটিই কথা,”টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় এমন মাননেওয়ালা বাচাইকৃত মজমা ইজতমার ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত। “
পাহারসম ধর্য্য আর ষড়যন্ত্রের স্লাইকোন ডিঙ্গিয়ে আজ এই লাখ লাখ মানুষের হকের কাফেলায় সমবেত। এরা জীবন দিতে পারে এক ইশারায় দ্বীনের জন্য কিন্তু কোন চক্রান্তের কাছে নিজের কলিজার টুকরো নবীওয়ালা এই মেহনতকে তুলে দিবে না।
যে মজমায় ছোট নাবালেক বাচ্ছা নেই। দাওয়াত ও তাবলীগে সময় লাগায় নি এমন লোকজনও কম। ফলে এই মজমা বয়ানের সময় ঘুরাঘুরি করেনা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হয় না। এরা ঢাকা শহর দেখতে আশা কিংবা টঙ্গীর পুরানো শিতের কাপড় কিননেওয়াল মজমা নয়।
এই মজমা মুন্তাখাব হওয়া এক মজমা। যারা আনুগত্যের পরিক্ষা দিয়ে ইমাম মাহদীর কাফেলার সৈনিক হিসাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করছে। যারা তাহকিক ছাড়া কথা বলে না। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয় না। নেটের গুজব আর ধোকাবাজি যাদের চুতে পারেনি। যারা ওজাহাতি নামক তহমত আর বুহতানের ষড়যন্ত্রকে ধুলায় মিশিয়ে ঈমানের কটিন পরিক্ষা দিয়ে এখানে এসেছেন।
দিনে জানতুর মেহনত। রাতে জায়নামাজে লুটিয়ে পড়ে এই মজমা। লাখ লাখ মুবাল্লীগদের তাহাজ্জুদ, আর কিয়ামুল লাইল ও শেষ রাতের রোনাজারিতে টঙ্গীর বাতাসকে ভারী করে।
এই মজমা, যাকে আমরা “আমলা” বলতে পারি (যারা নিজের কাজ বানিয়ে মেহনত করেন)। নিজামুদ্দিনের মুরব্বিদের হৃদয়ছুঁয়া ঈমানী মোজাকারা ও সিরাত ভিত্তিক আলোচনা শুনে যারা আগামী একবছর বাংলার মানুষের দ্বীলের ময়দানে রাত দিন মেহনত করবে।
যাদের কাছে, ইজতেমা কোন ওয়াজ মাহফিল আর লোক জমায়েতের নাম নয়। এই মজমা বিশ্বাস করে ইজতেমা একটি মেহনতের নাম। তাই তাদের কথা নেয়া, আমলের একনিষ্ঠতা, মনযোগীতা চোখে পড়ার মত।