শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
গাজীপুর প্রতিনিধি; তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মূলধারার অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বী মাওলানা আশরাফ আলী জানিয়েছেন, এবারের ইজতেমা আদর্শগত ভিন্নতার কারণে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলে এই ইজতেমায় স্রোতা ভিন্ন, বক্তা ভিন্ন, দোয়া ভিন্ন এবং আদর্শও ভিন্ন।
তিনি বলেন, ফলে এটাকে সবদিক থেকে এক ইজতেমা বলার উপায় নেই। কিন্তু আবার একদিক থেকে একও বলা যায়। কারণ পৃথক হলেও দুটি ইজতেমা একই প্যান্ডেলে হচ্ছে। এবারের ইজতেমা আয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ধর্মমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টা অনস্বীকার্য।
মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, মাওলানা সাদের প্রতিনিধি হিসেবে ৩২ জনের একটি জামাত দিল্লি থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় যোগদান করেছেন। প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে এসেছেন মাওলানা শামীম। তিনিই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সোমবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি মেহমানখানায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেজা আরিফ, আব্দুল্লাহ শাকিল ও সাজিদুর রহমান।
মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত এক সুপরিচিত মেহনত। এতে সুপরিচিত হতে দীর্ঘদিনের ত্যাগ, পরিশ্রম ও কোরবানি রয়েছে। এর উৎস হচ্ছে দিল্লির নিজামুদ্দিন থেকে। মাওলানা ইলিয়াস (র.) থেকে এ কাজের শুরু। আজ মাওলানা সাদ হলেন এই কাজের বর্তমান বিশ্ব আমীর। প্রায় ৬০ বছর ধরে তাঁদের মাধ্যমে ইজতেমা পরিচালিত হয়ে আসছে।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মুরুব্বিরা ইজতেমার দুটি পক্ষকে একত্রিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর যদি এটি সম্ভব না হয়, তবে যার যার অবস্থান থেকেই ভবিষ্যতে ইজতেমা করা হবে। এতে কোনো পক্ষ যেন কোনো পক্ষকে বাধা না দেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আদর্শগত পার্থক্য থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত একসঙ্গে ইজতমার প্রশ্নই আসে না। আদর্শ ভিন্ন রেখে একসঙ্গে ইজতেমা করতে যাওয়া মানেই অনিবার্য সংঘাত ডেকে আনা। তারা যদি ভুল বুঝতে পারেন তাদের এ ধরনের সংঘাতে যাওয়া ক্ষতি হচ্ছে, মুসলমানের ক্ষতি হচ্ছে তাহলে আগে যেমন মাওলানা সাদের নেতৃত্বে নিজামুদ্দিনের পরিচালনায় একসঙ্গে ইজতেমা হতো, আবারো সেভাবে হবে।
প্রতিদিন ফজর থেকে এশা পর্যন্ত ঈমান, আমল, আখলাক ও দ্বীনের পথে মেহনতের ওপর আমবয়ান অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বাদ ফজর বয়ান করেন দিল্লির নিজামুদ্দিনের মাওলানা মুরছলিন। বাদ জোহর দিল্লির মুফতী শেহজাদ, বাদ আসর মাওলানা শওকত বয়ান করেন। আখেরি মোনাজাতের আগে বয়ান ও আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ শামীম।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ইজতেমা শেষে এর মালামালগুলো পুলিশ ও প্রশাসনের হেফাজতে থাকবে। পরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইজতেমার মালামাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।