শিক্ষাবোর্ড প্রতিনিধি,

হাইয়াতুল উলিয়ার অসংবিধানিক আচরণের কারনেই আমরা নতুন বোর্ড করতে বাধ্য হয়েছি
মুফতী আতাউর রহমান
জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান, আল মাদরাসাতু মুঈনুল ইসলাম ভাটারার মুহতামিম মুফতী আতাউর রহমান বলেছেন, হাইয়াতুল উলিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনৈতিক খেলা হচ্ছে। তাবলীগের ইস্যুকে শিক্ষাবোর্ডে টেনে এনে তাবলীগের মূলধারার শত শত মাদরাসাকে ধ্বংস করতে হাইয়াতুল উলিয়ার নাম ব্যবহার করে হীন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা এনিয়ে প্রথমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। মাননীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ও শিক্ষাসচীব মোহদয়গণের সাথে বৈঠক করেছি। তারপরে আমরা বাধ্য হয়ে মহামান্য আদালতে রীট করেছি। হাইকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দিয়ে হাইয়াতুল উলিয়া ও বেফাককে তিরস্কার করে আমাদের মাদরাসার নামে প্রবেশপত্র ইস্যু করতে নির্দেশ দেয়। এতে পরীক্ষা নিতে বাধ্য হলেও বেফাক ও ‘হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমীয়া’ কেবল নিজামুদ্দীন বিশ্ব মারকাজকে অনুসরণ করার কারণে হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করে আমাদের মাদরাসাগুলোকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। হাইয়াতুল উলিয়ার পক্ষ থেকে শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার নিয়ে অসাংবিধানিক আচরণ আজ অনেক মিডিয়ার শিরেনাম হয়েছে। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, যা কখনো কাম্য ছিল না। আমাদের মাদরাসাগুলো তালীমের পাশাপাশি তাবলীগের নীতিতে বিশ্ব মারকাজ দিল্লীর নিজামুদ্দিনের অনুসরণ করে চলবে, এতে হাইয়াতুল উলিয়া কোন প্রকার হস্তক্ষেপের নৈতিক অধিকার রাখে না।
জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডর চেয়ারম্যান আরো বলেন, যখন আমাদের মাদরাসাগুলোকে স্বীকৃতি না দিয়ে, আমাদের মাদরাসার ছাত্রদের প্রবেশপত্রে আমাদের মূলধারার মাদরাসার নাম বাদ দিয়ে বোর্ডের নাম জুড়ে দিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তখন আদালতে এর বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই।
মুফতী আতাউর রহমান আরো বলেন, তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা ও হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সারাদেশের দুই শতাধিক মাদরাসা নিয়ে আজ ‘জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড’ এর পথ চলা শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি হাইয়াতুল উলিয়ার ৬টি কওমীবোর্ড ও সারাদেশের ২২টি কওমী বোর্ডের মতোই এই বোর্ডও শিক্ষাখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।