বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ প্রতিনিধি, তাবলীগ নিউজ বিডিডটকম
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর তাবলীগের জিম্মাদার হাফেজ আবদুর রহিম রাজন(২৭) এর প্রথম জানাজার নামাজ আজ রাত ৯টা১৫মিনিটে বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের কন্দ্রীয় মারকাজ কাকরাইল মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। হেফাজতী সন্ত্রাসীদের পেটৃটল ঢেলে গায়ে আগুন দেয়ার টানা ২২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুর রহিম রাজন পৌর সদরের পূর্বপাড়া মহল্লার প্রবাসী মস্তোফা মিয়ার ছেলে। রাজনের মামা মানিক মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা গেছে।
এর আগে গত ১৯ মে রাতের আধাঁরে তাবলীগের পাকিস্থান শুরাপন্থী হেফাজত সমর্থক সন্ত্রাসীরা কাটিয়াদী থানা থেকে ৫০ গজ দূরে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের পিছনের গলিতে রাজনের গায়ে পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কটিয়াদী হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রাজন তাবলীগ জামাতের নিজামুদ্দিন মারকাজের অনুসারী ছিলেন। এ ঘটনায় রাজনের মামা মামুনুর রশিদ নয়ন তাবলীগ জামাতের যোবায়েরপন্থী সুমন, সুহেল ও কলিকসহ আরও ৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে কটিয়াদী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এদের দুজন এখন কারাগারে।
রাজন হাসপাতালে নিজেই জবানবন্দি দিয়েছেন,কিশোরগঞ্জের কাটিয়াদী থানায় নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারর্কাজের অনুসারী মূলধারা একটা তাবলীগের সাথীর গায়ে পেট্রল ঢেলে হত্যার করে, হেফাজতপন্থী পাকিস্থানী কথিত শুরার সমর্থক সন্ত্রাসীরা।
কিশোরগঞ্জ তাবলীগ মারকাজের জিম্মাদার সাথী আব্দুর রহিম রাজন নিজ মহল্লায় একটুও তাবলীগের জামাত এলে তাদের ইস্তেকবাল করেন। তখন মসজিদে তাবলীগ জামাতকে থাকতে বাঁধা দেয় পাকিশুরাপন্থী হেফাজত সমর্থক সোহেল আহমদ ও মাহমুদুল হাসান। এতে তারা ব্যার্থ হয়ে আব্দুর রহিমের উপর ক্ষিপ্ত হন।
সে রাতে তারাবির নামাজ পড়তে আব্দুর রহিন যখন মসজিদে যাচ্ছিলেন, তখন সোহেল, মাহমুদুলসহ কয়েকজন তাকে পথরোধ করে গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আব্দুর রহিম তখন মাটিতে গড়াগড়ি করে চিৎকার করলে হেফাজতপন্থী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তিনি তখন গড়াগড়ি করে পাশের নর্দমায় ঝাপ দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। চিৎকার শুনে আব্দুর রহিমকে স্থানীয় মুসল্লিরা উদ্ধার করে কাটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্রেলেক্সে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আবদুর রহিমের শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ডাক্তার থাকে তৎকানীক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।